পুরনো গাড়ি কেনা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি প্রথমবারের মতো কিনতে যান। ভালো মানের একটি ইউজড গাড়ি কেনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা দরকার। এখানে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস তুলে ধরছি, যা একটি ভালো গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

১. বাজেট নির্ধারণ করা

ইউজড গাড়ি কেনার আগে আপনার বাজেট ঠিক করুন। শুধু গাড়ির দামই নয়, ট্যাক্স, ইন্স্যুরেন্স, রেজিস্ট্রেশন এবং মেইনটেন্যান্স খরচের বিষয়টিও বিবেচনায়  নিতে হবে ।

২. অনুসন্ধান করা

কোন মডেলের গাড়ি কিনতে চান এবং সেটির বর্তমান বাজারমূল্য কী, তা নিয়েও ভালোভাবে গবেষণা করতে হবে । বিভিন্ন ওয়েবসাইট, অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং গাড়ির রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।  

৩. গাড়ির ইতিহাস যাচাই করা

গাড়িটির আগে কতজন মালিক ছিল, এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে কি না, এর ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হয়েছে কি না—এসব বিষয় যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৪. মেকানিকের মাধ্যমে পরীক্ষা করা

নিজে দেখে বা চালিয়ে গাড়ির সব সমস্যা ধরতে পারবেন না। তাই একজন অভিজ্ঞ মেকানিক দিয়ে গাড়িটি ভালোভাবে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে ।

৫. মাইলেজ পরীক্ষা করা

একটি ভালো ইউজড গাড়ির মাইলেজ হওয়া উচিত যুক্তিযুক্ত। খুব বেশি বা খুব কম মাইলেজ থাকা গাড়ি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৬. টেস্ট ড্রাইভ

গাড়ি কেনার আগে অবশ্যই টেস্ট ড্রাইভ করতে হবে। ব্রেক, স্টিয়ারিং, সাসপেনশন এবং ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে।

৭. পেপারওয়ার্ক যাচাই

গাড়ির রেজিস্ট্রেশন পেপার, ইন্স্যুরেন্স, ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ইত্যাদি যাচাই করতে হবে। কোনো কাগজপত্র অনুপস্থিত থাকলে সমস্যা হতে পারে।

৮. দরদাম ঠিক করা

ইউজড গাড়ির দামে দরাদরি করা স্বাভাবিক বিষয়। বিক্রেতার দেওয়া প্রথম দামের চেয়ে কম দামে কিনতে পারার সম্ভাবনা থাকে।

৯. মালিকের সাথে যোগাযোগ করা

ডিলার বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে না কিনে সরাসরি গাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলুন। এতে গাড়ির আসল অবস্থা সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাবেন।

১০. বিক্রির পরে সাপোর্ট নিশ্চিত করা

অনেক সময় ইউজড গাড়ির কিছু সমস্যা কেনার পরেই ধরা পড়ে। তাই বিক্রেতার কাছ থেকে কিছুদিনের জন্য সাপোর্ট পাবেন কি না, তা নিশ্চিত করুন।

একটি ভালো ইউজড গাড়ি কেনার জন্য আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার। যেমন: গাড়ির সার্ভিস হিস্টোরি যাচাই করা, অতিরিক্ত আনুষাঙ্গিক (যেমন: চাবি, ম্যানুয়াল, স্পেয়ার টায়ার) পরীক্ষা করা, এবং গাড়িটির মূল বাজারমূল্য ও বিক্রির সম্ভাবনা বিবেচনা করা। এছাড়াও, কোন ধরনের গাড়ি আপনার প্রয়োজনের সাথে সবচেয়ে ভালো মানায় সেটি বুঝে নেওয়া উচিত। এই বিষয়গুলো অনুসরণ করলে আপনি আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

উপসংহার

একটি ভালো মানের ইউজড গাড়ি কেনার জন্য সময় নিয়ে যাচাই-বাছাই করা জরুরি। উপরের টিপসগুলো অনুসরণ করলে সহজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজেটের মধ্যে সেরা গাড়িটি কিনতে পারবেন।

About Author

Leave a Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *